You are currently viewing সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন – ওয়েবসাইট ডিজাইন

সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন বলতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন ভিজ্যুয়াল পণ্যের প্রচারণা করাকে বোঝায়। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ছবি, এনিমেশন, ভিডিও ও গ্রাফিক্স ব্যবহার করে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং অন্যান্য মাধ্যমগুলোতে পোস্ট করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপক ব্যবহারের কারণে সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন বর্তমান সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে শিক্ষা, ব্যবসা, বিজনেস প্রমোশন, বিজ্ঞাপন ইত্যাদির প্রচারণা বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ার এর ব্যবহারকারীবান্ধব ডিজাইন করাটাও অত্যাবশ্যকীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এজন্যই এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট অনেকেই তাদের সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে প্রফেশনাল ডিজাইনারদের মাধ্যমে আরও আর্কষণীয় ও ইউজার ফ্রেন্ডলি করে ডিজাইন করিয়ে নিচ্ছেন। এর ফলে তাদের অডিয়েন্স এনগেজমেন্ট প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া পরিচালন ব্যয় কম হওয়ার কারণে অন্য যে কোন মাধ্যমের চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়া অনেক জনপ্রিয়।

পোস্টার ডিজাইন

পোস্টার ডিজাইন

পোস্টার হল অস্থায়ীভাবে বিপুল পরিমাণ জনগণের কাছে কোন ধারণা, পণ্য, জনসচেতনতা প্রচারের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। একটি পোস্টার এর মধ্যে মূলত দুইটি জিনিস থাকে গ্রাফিক্স ও টেক্সট। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে পোস্টার শুধুমাত্র গ্রাফিক্যাল বা শুধুমাত্র টেক্সট হতে পারে। একটি পোস্টারের ডিজাইন কেমন হবে তা নির্ভর করছে কি কাজে এর ব্যবহার হবে তার উপর।

বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হলো পোস্টার ডিজাইন। আজকের দিনে আপনার চারপাশে যে দিকেই তাকান না কেন, কোন না কোন পোস্টার অবশ্যই দেখতে পাবেন। এর থেকে বোঝা যায় বর্তমানে পোস্টার ডিজাইন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক যুগে এসেও মানুষ যে কোনো অনুষ্ঠান, সচেতনতা বা অন্যান্য ক্ষেত্রে পোস্টারের উপরেই সবচেয়ে বেশি নির্ভর করছে। তাইতো যে কোন উৎসব-অনুষ্ঠান, সচেতনতা বা নির্বাচন হলেই সাদা-কালো ও রঙিন পোস্টারে ছেয়ে যায় আমাদের শহর, গ্রাম-গঞ্জ, বাজার গুলো।

তবে সময়ের সাথে সাথে কাগজে পোস্টারের ধারনা পাল্টে এখন এসেছে ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুন, বিলবোর্ড ইত্যাদি। কিন্তু পক্ষান্তরে এগুলো কাগজে পোস্টারের আধুনিক রূপ মাত্র। তাই বলা যেতে পারে পোস্টার ডিজাইন এর গুরুত্ব পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় কমে যায়নি বরং এর আধুনিকায়ন হয়েছে। 

এমনিভাবে ভবিষ্যতেও পোস্টার ডিজাইন গ্রাফিক্স ডিজাইনের একটি বড় অংশ দখল করে থাকবে। আজকের ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদিতে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুল ব্যবহৃত একটি জিনিস হল ডিজিটাল পোস্টার। তাই বলা বাহুল্য, পোস্টার ডিজাইন এর গুরুত্ব কখনো কমবে না বরং এর ব্যবহারের ধরণ ও প্লাটফর্মের ভিন্নতা দেখা দিতে পারে।

ওয়েবসাইট ডিজাইন

ওয়েবসাইটে বা ওয়েব ডিজাইন বলতে কোনো ওয়েবসাইট এর বাহ্যিক রূপ ও ফিচারগুলো কেমন হবে তা বোঝায়। এক্ষেত্রে কোনো ওয়েবসাইটের হেডার, সাইডবার, টেমপ্লেট, লে-আউট ইত্যাদি বিষয়গুলো সুবিন্যাস্তভাবে ডিজাইন করাই মূলত ওয়েব ডিজাইন এর প্রধান কাজ। আর এ কাজগুলো বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ও এইচটিএমএল (html) ব্যবহার করে করা হয়ে থাকে। 

ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার ও ডিজিটালাইজেশনের কারণে বর্তমানে ওয়েবসাইট আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। তাইতো ইন্টারনেটের জগৎ আজ লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইটে ভরা। ডিজিটাল বিশ্ব বলতে আমরা যা বুঝি তার মূলে রয়েছে এসব অসংখ্য ওয়েবসাইট। 

আজকের দিনে মানুষ প্রচুর পরিমাণে ওয়েবসাইট ব্যবহারের উপর নির্ভরশীল হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত এর পরিমাণ বেড়েই চলেছে। নিত্যদিনের পেপার থেকে শুরু করে, বাজার-সদাই করা, টাকা উত্তোলন ও জমা দেয়া, পড়াশুনা সবকিছুই এখন হচ্ছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। ওয়েবসাইটের উপর মানুষের এরকম নির্ভশীলতা বেড়ে যাওয়ার প্রতিনিয়তই তৈরি হচ্ছে অসংখ্য ওয়েবসাইট। তাই বর্তমানে ওয়েব  ডিজাইনারদের চাহিদাও ক্রমাগত বাড়ছে। 

ইন্টারনেটের দুনিয়ায় থাকা এ বিপুল পরিমাণ ওয়েবসাইট তৈরি, মেইনটেনেন্স, ডিজাইন ও রি-ডিজাইনের জন্য বিপুল পরিমাণ ওয়েবসাইট ডিজাইনার নিশ্চয়ই প্রয়োজন। আর তাই যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে ওয়েব ডিজাইনারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

ওয়েব ডিজাইনারদের চাহিদা কেমন তা জানতে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে একটু ঢুঁ মারলেই বুঝতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো এখন ওয়েব ডিজাইন এর জব পোস্টে ঠাসা। শুধু ফ্রিল্যান্সিং এ নয়, বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রতিষ্ঠানেও রয়েছে ওয়েসাইট ডিজাইনারদের চাহিদা। বর্তমান মর্ডান সোশ্যাল সাইট ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, লিংকড-ইন এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেস আমাজন, আলিবাবা, দারাজ, ইভ্যালি ইত্যাদির সবগুলোই কিন্তু এক একটি ওয়েবসাইট। এখন অফিস-আদালত থেকে শুরু করে শিক্ষা, ব্যাংকিং, বাজার ব্যবস্হা সবকিছুই ওয়েবসাইট নির্ভরশীল। তাই ওয়েবসাইট ডিজাইন বর্তমান ডিজিটাল বিশ্বের জন্য অত্যাবশ্যকীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

টেমপ্লেট ডিজাইন

টেমপ্লেট ডিজাইন

টেমপ্লেট ডিজাইন বলতে কোন ওয়েবসাইটের বাহ্যিক ডিজাইন কে বোঝানো হয়ে থাকে। সহজে বোঝার জন্য একে আপনি আমাদের পোশাকের সাথে তুলনা করতে পারবেন। আমরা যেমন নিজেদেরকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য বিভিন্ন রকম পোশাক পরে থাকি, এমনিভাবে টেমপ্লেট কোন ওয়েবসাইটের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজটি করে থাকে। 

বর্তমানে প্রায় সব ধরণের ওয়েবসাইটের টেমপ্লেট ডিজাইন করা হয়ে থাকে। এজন্যই ওয়েবসাইটের কনটেন্ট থেকে এর ডিজাইন আলাদা রাখা হয়। যার ফলে, প্রয়োজনে কনটেন্ট অক্ষুন্ন রেখে এর ডিজাইনে পরিবর্তন নিয়ে আসা সম্ভব হয়।

একটু আগেই বলেছি, টেমপ্লেট ডিজাইন কে আমাদের পোশাকের সাথে তুলনা করা হয়। আমরা কিন্তু সব সময় একই রকম পোশাক ব্যবহার করিনা। যেমন: অফিস-আদালতে, স্কুল-কলেজে, খেলার মাঠে ইত্যাদিতে আমাদের পোশাকের ভিন্নতা দেখা যায়। আর তাই ওয়েবসাইটের বিষয়ের উপর নির্ভর করে এর ডিজাইনেও ভিন্নতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

মজার ব্যপার হলো, প্রথমদিকে ওয়েবসাইট ডিজাইনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এইচটিএমএল (html) ব্যবহার করেই সম্পূর্ণ একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করা হতো। কিন্তু বর্তমানে সেই প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন হয়েছে। এখন ওয়েবসাইট শুধুমাত্র একটানা তথ্য প্রদানের জন্যই ব্যবহার হয়ে থাকে না, শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যাংকিং, ব্যবসা ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই বর্তমানে ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হচ্ছে। আর তাই, ওয়েবসাইট ডিজাইনের ধারণাতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।

এখন টেমপ্লেট ডিজাইনে স্ট্যাটিক ডিজাইনের পাশাপাশি ডায়নামিক ডিজাইনও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে শেয়ার বাজারের জন্য ব্যবহৃত ওয়েবসাইট, খেলার খবরের লাইভ স্কোর ইত্যাদির জন্য যে সকল ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয় তার সবগুলোই ডায়নামিক ওয়েবসাইট। ক্রিকেট খেলায় লাইভ স্কোর দেখার জন্য জনপ্রিয় Crickbuzz ওয়েবসাইট ডায়নামিক টেমপ্লেট এর একটি অনন্য উদাহরণ।

ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভিং

ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ বলতে কোন ইমেজ বা ছবির মূল অংশ থেকে তার ব্যাকগ্রাউন্ড কে রিমোভ বা সরিয়ে নেয়াকে বুঝায়। আধুনিক ফটোশপের ক্ষেত্রে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী টুল। 

বর্তমান ফটোশপ ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বাধিক পরিমাণে যে কাজটি করা হয়ে থাকে সেটি হলো ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভিং। এর সাহায্যে আমরা আমাদের ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে অন্য যেকোনো ছবি যুক্ত করতে পারি। তাই ইচ্ছে করলেই আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ডে আইফেল টাওয়ার, স্ট্যাচু অব লিবার্টি বা মিশরের পিরামিড যে কোনোটিই নিয়ে আসা সম্ভব।

ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভিংয়ের কাজগুলো সবচেয়ে সূক্ষ্মভাবে করা যায় ক্লিপিং পাথ (clipping path), ফটোশপ ইমেজ মাস্কিং (Image masking) এবং ম্যজিক টুলস ব্যবহার করে। এসব টুলস ব্যবহার করে ইমেজে উন্নতমানের ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভিং সম্ভব।

তবে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভিং কিন্তু শুধু ইমেজের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় না। আজকাল সিনেমাতেও প্রচুর পরিমাণে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভিং এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে সাইন্স ফিকশন, হিস্ট্রি, হরর ইত্যাদি সিনেমাগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভিং এর কাজ করা হয়।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতেও ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভিং সংক্রান্ত প্রচুর পরিমাণে কাজ পাওয়া যায়। তাই প্রাথমিক পর্যায়ের অনেক ফ্রিল্যান্সাররাই ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভিং এর মাধ্যমে তাদের উপার্জন শুরু করে। এজন্য চাহিদা বিবেচনায় বর্তমানে এবং ভবিষ্যতেও এ পেশা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে থাকবে বলে এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী।

Leave a Reply